দুদকের মামলা: গাড়ি কিনে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন নর্থ সাউথের ৮ বোর্ড সদস্য

Passenger Voice    |    ০২:৩৪ পিএম, ২০২৪-০৪-০২


দুদকের মামলা: গাড়ি কিনে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন নর্থ সাউথের ৮ বোর্ড সদস্য

অসৎ উদ্দেশ্যে বিলাসবহুল ১০টি গাড়ি ক্রয়, ব্যবহার, জ্বালানি তেল ক্রয় ও পরবর্তীতে বিক্রির মাধ্যমে ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫৮ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের ৮ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আসামিরা হলেন– নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের তৎকালীন সদস্য বেনজীর আহমেদ, এম এ কাশেম, রেহানা রহমান, আজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, ইয়াছমিন কামাল, ফওজিয়া নাজ ও তানভীর হারুন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তারা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে সাধারণ তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৪৪ (৭) ধারা লঙ্ঘন করে ৪৯ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। তারা নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের অসৎ উদ্দেশ্যে বিলাসবহুল ১০টি গাড়ি ক্রয়, ব্যবহার ও পরবর্তীতে বিক্রির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৫ টাকা এবং জ্বালানি ও চালকের বেতন বাবদ ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০৩ টাকা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন করেছেন। সবমিলিয়ে ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫৮ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র আরও জানায়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৪৪(৭) ধারা লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ২০২২ সালের ১৭ মে ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। গাড়িগুলো মোট ১৭ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৫ টাকায় বিক্রি করলেও ক্রয় মূল্যের চেয়ে ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৫ টাকা কম পাওয়া গেছে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯/৪২০/১০৯ ধারা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৪৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।